শের-শাহ এর শাসন আমলে ঢাকার লালবাগস্থ চকবাজার এলাকায় তৈরী করা হয়েছিল আফগান দুর্গ। পরবর্তীতে মোগল শাসক সুবেদার ইসলাম খান দুর্গটিকে সংস্কার করে এর এক অংশে অফিস এবং অপর অংশে সামরিক সদর দপ্তর স্থাপন করে আমাদের এ অঞ্চলে কারাগার ব্যবস্থা চালু করেন। বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার বাংলাদেশের প্রথম কারাগার। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনামলে ১৭৮৮ সালে একটি ক্রিমিনাল ওয়ার্ড নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কাজ শুরু হয়। কালের পরিক্রমায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার বন্দি সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিপুল সংখ্যক কারা বন্দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে সরকার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি আধিক্যতা হ্রাস করতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বন্দি সংশোধন মূলক কারাগার নির্মাণের লক্ষ্যে ঢাকার অদূরে নতুন কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর জেলার কাশিমপুরে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১, নামে একটি কারাগার নির্মাণ করা হয়। যা ২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চালু হয়। ২য় পর্যায়ে ২০০৩ সালের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ নির্মাণ কারা হয় যা বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, গাজীপুর নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৫ সালের ০৯ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে। ২০০৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই কারাগারের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারী এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন। কারাগারটির বন্দি ধারণ ক্ষমতা ২০০০ জন। ৩য় পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাকির হাসান কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করেন। ৪র্থ পর্যায়ে ২০১২ সালের ১২ জুলাই মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় জনাবা এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করেন। ২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী এই কারাগারের প্রশাসণিক কার্যক্রম শুরু হয়। কাশিমপুর কারাগার ক্যাম্পাসে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে ২৩/১২/২০১৪ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কারা সপ্তাহ-২০১৪ এর শুভ উদ্বোধন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস